বেগম খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়লে আপত্তি নেই আ. লীগের
দলটির নেতারা বলছেন, চিকিৎসার জন্য বেগম জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর এখতিয়ার আদালতের, এতে হাত নেই আওয়ামী লীগের। তবে ক্ষমতাসীন দলের কেউ কেউ মনে করেন, শর্ত সাপেক্ষে এমন মুক্তির অপব্যবহার যাতে না হয় সে জন্যও সজাগ থাকতে হবে সবাইকে।
আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তাকে প্যারোলে মুক্তি দিয়েছে। আমরা চাই বাংলাদেশে একটা সুষ্ঠু রাজনীতিক ধারা সৃষ্টি হোক। দুঃখজনক হলেও সত্য বেগম জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি সঠিক রাজনীতিক ধারা সৃষ্টি করতে পারেনি অতীতে। আগামীতে কেমন হবে আমি জানি না।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবউল আলম হানিফ বলেন, আওয়ামী লীগ মনে করে কোনো দন্ধ প্রাপ্ত আসামির ক্ষেত্রে আইন তার নিজস্ব গতিতেই চলা উচিৎ। আইনের বিধান আছে; সে বিধান সকলের জন্য সমান হওয়া উচিৎ।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ বাড়ানো দরকার। করোনার কারণে তার উন্নত চিকিৎসা সম্ভব হচ্ছে না। এদিকে জামিনের মেয়াদ শেষ হয়ে আসছে।
দুর্নীতি মামলায় প্রায় দুই বছর কারাগারে ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। পরিবারের আবেদনে শর্ত সাপেক্ষে গেল মার্চে ছয় মাসের জন্য জামিনে মুক্তি পান তিনি। এই মেয়াদ শেষ হবে ২৬ সেপ্টেম্বর। এ অবস্থায় তার পরিবার আবারো জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেছেন।